চাকরির নামে দেহব্যবসা করানোর চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
নরসিংদীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিশোরীদের দিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার নরসিংদীর পলাশ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার হামিদ, রোকেয়া বেগম ও তাঁর স্বামী সাব্বির হোসেন। পরে আজ শনিবার তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর সোহেল রানা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় বিভিন্ন অসহায় কিশোরীদের কাজ দেওয়ার কথা বলে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে আসছিলেন। তাদের কথামতো কাজ না করলে বিভিন্ন কায়দায় তাঁরা ওই কিশোরীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন। কখনো ওই কিশোরীদের মারধর করতেন। আবার কখনো অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এক কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যান কাউছার। পরে তাকে ঘরে বন্দি করে দেহব্যবসা করানোর চেষ্টা করেন কাউছার ও তাঁর সহযোগীরা। আনিকা রাজি না হলে তাঁরা ওই কিশোরীকে মারধর করতে শুরু করেন। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে। এ সময় তাঁরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গতকালই ওই কিশোরী থানায় একটি মামলা করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা কাউছারের মুঠোফোনে একাধিক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।