উত্তরখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন মারা গেছেন
রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তাঁর নাম আজিজুল ইসলাম (২৭)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি হেরে যান। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।
এর আগে আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরখানের বেপারিপাড়ার একটি বাড়ি থেকে আটজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
‘গ্যাসের লিকেজ’ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে চারজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু-কিশোর। ছয়জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে আজিজুল মারা গেলেন।
এসআই বাচ্চু মিয়া আরো বলেন, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ভোররাত সোয়া ৫টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন ভর্তি রয়েছেন- ডাবলু (৩৩), আনজু (২৫), আবদুল্লাহ (৫), মোসলেমা (২০), পূর্ণিমা (৩৫), সুফিয়া (৫০) ও সাগর (১২)।
উত্তরা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, উত্তরখানের বেপারিপাড়ার তিনতলা বাসাটির নিচতলায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। নিচতলার তিনটি কক্ষ থেকে আটজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
‘ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ হয়ে কক্ষগুলোতে গ্যাস জমে গিয়েছিল। ভোরে পরিবারের রান্না করার জন্য চুলার সামনে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।’
জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘরে গ্যাস জমে থাকার আলামত পাওয়া গেছে। দগ্ধদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবদুল্লাহ ও আনজু ছাড়া সবারই শরীর দগ্ধ হয়েছে।