এমপিও না পাওয়ায় কীটনাশক খেয়ে শিক্ষকের ‘আত্মহত্যা’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মান্থলি পে অর্ডার (এমপিও) থেকে নিজের নাম বাদ পড়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিধান চন্দ্র ঘোষ (৪৫) নামের এক স্কুলশিক্ষক।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঝড়গাছা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত বিধান চন্দ্র স্থানীয় সেনেরগাঁতি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
বিদ্যালয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৩ জুন শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিধান চন্দ্র সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়মিতই বেতন, ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামো বিষয়ক জটিলতার কারণে এমপিও থেকে নাম বাদ পড়ায় বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন না তিনি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সন্তোষজনক জবাব পায়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে প্রায় বছরখানেক বেতন-ভাতা ছাড়াই শিক্ষকতা করে যাচ্ছিলেন বিধান। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকট ও নতুন করে বেতন ছাড় না হওয়ার মানসিক চাপে শেষমেশ গতকাল সন্ধ্যায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সেনেরগাঁতি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বিধান বাজার থেকে কীটনাশক কিনে আনেন এবং সবার অজান্তে খেয়ে ফেলেন। পরে বিধানকে বাড়ির পাশে একটি হলুদ বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিধান চন্দ্রের ময়নাতদন্ত এরই মাঝে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম।