খুলনা জেলা স্টেডিয়ামের নৈশপ্রহরী আবদুল জলিলকে (৬০) শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় স্টেডিয়ামের একটি কক্ষ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহসান জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বর্তমানে পুরোনো ভবন ভাঙার কাজ চলছে। সেখানে প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের টাকা চুরির ঘটনায় নৈশপ্রহরী চোর সন্দেহে এক শ্রমিককে নিজের কক্ষে এনে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। পরে তার সহযোগীরা ঘরের তালা ভেঙে ওই শ্রমিককে নিয়ে যায়।

urgentPhoto

খুলনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, গতকাল রাতে জেলা স্টেডিয়ামে কর্মরত দুজন নির্মাণ শ্রমিকের মজুরির টাকা চুরি নিয়ে প্রথমে বিরোধ ও পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় নৈশপ্রহরী আবদুল জলিল গিয়ে ওই দুজনকে মারামারি থেকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় চোর অভিযুক্ত একজন শ্রমিককে নৈশপ্রহরীর কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়, সকালে স্টেডিয়ামের সাধারণ সম্পাদক স্টেডিয়ামে গেলে বিচার করা হবে বলে।

পরে নৈশপ্রহরী ঘুমিয়ে পড়লে আটক চোর ও তার সহযোগীরা শাবল দিয়ে কুপিয়ে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্রমিকসহ তিন শ্রমিক পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা শাবল ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এ ঘটনায় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।