চামড়া পাচার ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নজরদারি
ভারতে কোরবানির চামড়া পাচার ঠেকাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও বিজিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
চামড়া চোরাকারবারিদের তালিকা তৈরি করে তাদেরও রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারিতে।
চামড়াবোঝাই কোনো ট্রাক যাতে সীমান্ত অভিমুখে যেতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী সড়কগুলোতে বসানো হয়েছে বিজিবির চেকপোস্ট। রাত ১০টার পর বাংলাদেশি নাগরিকদের শূন্যরেখায় না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে কঠোরভাবে। ঈদের দিন সকাল থেকে পরবর্তী এক মাস এই সতর্কতা বলবৎ থাকবে বলে জনিয়েছেন বিজিবির কর্মকর্তারা। চামড়া পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো হচ্ছে বেনাপোল, শার্শা, চৌগাছা, সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তপথ।
চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ট্যানারির মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছেন ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৫-৪০ টাকা, খাসির চামড়া ১৮-২০ টাকা, মাদি ছাগলের চামড়া ১৩-১৫ টাকা। পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়ার দাম বেশি। বাংলাদেশ থেকে কম দামে চামড়া কিনে সীমান্ত পার করলেই বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের সীমান্তে পাচারকারীদের চক্রগুলো এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তারা সুযোগ বুঝে এসব চামড়া ভারতে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
বিজিবির উপমহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালিদ আল মামুন বলেন, চামড়া পাচার প্রতিরোধে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের রাত ১০টার পর শূন্যরেখায় না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।