ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে প্রতিবেদন জমা দিতে ইসির নির্দেশ
নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’কে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে নিয়ে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দলটিকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির উপসচিব আবদুল হালিম খান।
আবদুল হালিম খান বলেন, ‘গত ১২ জুন নির্বাচন কমিশনের ৩১তম সভায় ৪০টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। পরে দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করে। তাদের আপিলের ভিত্তিতে আজ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।’
নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে ওই সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছিলাম। সবাই জমা দিয়েছে। শুধু ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এ কারণে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।’
শুনানি শেষে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ পিন্টু কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দুটি অভিযোগ ছিল। তারা চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। চিঠিতে নির্বাচন কমিশন আমাদের কার্যকলাপ জানতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সেই চিঠি পাইনি, একটু দেরিতে পেয়েছি। তাই আমাদের জবাব দিতে দেরি হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে নির্বাচন কমিশন আমাদের দলের নিবন্ধন বাতিল করার একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছে। আরেকটি অভিযোগ ছিল,আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে। তাদের এই অভিযোগ যথাযথ নয়। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আছে।’
আবদুস সামাদ পিন্টু আরো বলেন, ‘আজকের শুনানিতে নির্বাচন কমিশন আমাদের মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক অবস্থা জানতে চেয়েছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আমরা এর মধ্যে এ বিষয়ে কাগজপত্র কমিশন জমা দেবো। আর পরে কমিশন খোঁজখবর নিয়ে দেখবে। এরপর কমিশন আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
নিবন্ধন বাতিলের খবর সঠিক নয় দাবি করে আবদুস সামাদ পিন্টু বলেন, ‘এর আগে গণমাধ্যমে দলের নিবন্ধন বাতিলের সংবাদ বেরিয়েছিল, এটা সঠিক নয়। বাতিল হলে তাহলে আবার শুনানির জন্য ডাকে কেমনে? আসলে কমিশন হয়তো ভাবছিল, আমরা আর যোগাযোগ করব না, আমাদের দল বাতিল হয়ে যাবে, এ রকম একটা কিছু ব্যাপার ছিল। তারা বাতিলের প্রক্রিয়া করছিল। কিন্তু কমিশন যেসব কাগজপত্র চেয়েছিল, সেগুলো তো আমাদের কাছে আছেই। ১৬ সেপ্টেম্বর আমরা সেগুলো কমিশনকে দিয়ে দেবো। আজকের শুনানিতে কমিশনও সন্তুষ্ট, আমরাও সন্তুষ্ট।’
শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও মো. রফিকুল ইসলাম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ পিন্টু, কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ও সাঈদ আহমেদ এবং কার্যকরী সদস্য রাব্বি ও কাজল অংশ নেন।