রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে চিকিৎসা দিতে ও হাসপাতালে পাঠাতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন, অর্থাৎ ৬ আগস্ট তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এরপর রিমান্ড আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। সেদিনই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৮ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ড জানায়, হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অসুস্থতা নেই শহিদুল আলমের। এর পর আবার তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এরই মধ্যে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তারা শহিদুলের রিমান্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল চায়। একই সঙ্গে আবেদনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশও বাতিল চাওয়া হয়।
গতকাল রোববার সাত দিনের রিমান্ড শেষে শহিদুলকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, তিনি নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফেসবুকে উসকানি দিয়েছেন।