জয়পুরহাটে জামায়াত ও শিবিরের ৩০ নেতা-কর্মী কারাগারে

জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মিটনা-পাটের পুকুর এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এক গ্রামবাসীর দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় আজ রোববার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩০ জন নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।
জয়পুরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলাম মিয়া এসব নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল প্রায় তিন শতাধিক জামায়াত ও শিবির নেতা-কর্মী ও সমর্থক দলবদ্ধ ভাবে জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলার মিটনা-পাটের পুকুর গ্রামে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে তারা পরিকল্পিতভাবে ওই গ্রামের একটি দোকানসহ অন্তত সাতটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। ওই ঘটনায় নারীসহ মোট ছয়জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেললেও তার আগেই কয়েকটি বাড়ি ও খড়ের পালা পুড়ে যায়। এরপর জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে সে সময় নজরুল ইসলাম ও আহসান হাবিব নামের দুই জামায়াত ও শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার আগের দিন জয়পুরহাটের সীমান্তবর্তী উপজেলা পাঁচবিবির থানায় সশস্ত্র হামলা ও ২০দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল চলাকালে একাধিক নাশকতায় জড়িত, পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি জয়পুরহাট শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি শাহ আলমকে ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে সহযোগিতা করার জের ধরে মিটনা-পাটের পুকুর এলাকায় হামলা চালানো হয় বলে সদর থানা পুলিশ জানায়।
জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত ওই নাশকতার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পরের দিন জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। অপরদিকে ওই একই ঘটনায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জামায়াত ও শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে আসামি করে পৃথক আর একটি মামলা দায়ের করেন। এই দুটি মামলার আসামিদের মধ্যে ৩০ জন রোববার জয়পুরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলাম মিয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।