‘দুর্নীতিমুক্ত জ্বালানি ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই’
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ‘আমরা কোনো ভাবে কোনো জায়গায় কোনো গাফিলতিকে প্রশ্রয় দিব না। কোনো দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দিব না। দুর্নীতিমুক্ত জ্বালানি ব্যবস্থা আমরা আগামীতে তৈরি করতে চাই।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, সেমিনারসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালিত হবে।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতির বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এই সপ্তাহেই পাওয়া যাবে। আর তার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কয়লার বিষয়ে যেটা হয়েছে, ইতিমধ্যে সাময়িক তদন্ত একটা হয়েছে। আর বড় আকারে তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন। তাঁরা এখনো রিপোর্টটা পেশ করেন নাই। আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করব। তারপর আমরা আমাদের দাপ্তরিকভাবে ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে, সেটারও একটা তদন্ত চলছে। আমরা কোনোভাবে কোনো জায়গায় কোনো গাফিলতিকে প্রশ্রয় দিব না। কোনো দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দিব না। দুর্নীতিমুক্ত জ্বালানি ব্যবস্থা আমরা আগামীতে তৈরি করতে চাই।’
নসরুল হামিদ আরো বলেন, ‘মধ্যপাড়া কঠিন শিলার খনি থেকে পাথর গায়েবের কোনো অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে নিরীক্ষা করতে চাইলে করা যেতে পারে।’ চলতি মাসেই জাতীয় গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর ফলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।’ তবে সহনীয় অবস্থায় থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল সফরে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের পুনর্বাসন, পরিবেশ রক্ষা ও পানি ব্যবস্থাপনা সম্ভব হলেই কেবল বড় পুকুরিয়া থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’