যুবসমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো আন্তরিক হতে হবে
জাতিসংঘ মহাসচিবের যুববিষয়ক দূত জায়াথমা বিক্রমা নায়েকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে যুবসমাজকে নিরাপদ ডিজিটাল জায়গা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুবসমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার এবং দক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সব দেশের নেতৃত্বকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে।
আজ সোমবার সকালে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত এসব কথা বলেন।
দূত বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে যুবসমাজকে কাজে লাগিয়ে উন্নত ও শান্তিপূর্ণ নিরাপদ বিশ্ব গঠন করতে হলে দক্ষিণ এশিয়ার যুবসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব যুব দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুব ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল ও ইয়ুথ ভয়েসের পক্ষে ফাহমিদা ফায়াজ। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
জায়াথমা বিক্রমা নায়েকে বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার জন্য আন্দোলনের প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্রদের সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ সুযোগ দিতে হবে। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিতে সব মহলকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। যুবসমাজকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে আরো বেশি যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় এবং এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সারা দেশে যুবসমাজকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় যুবসমাজকে নিরাপদ রাখতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে সাধারণ মানুষ আজ কর্মমুখী হয়ে উঠেছে। এ দেশে কোনো যুবকই বেকার থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় দেশের শত শত যুবক চাকরি পেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বীরেন সিকদার বলেন, বিশ্ব শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী গড়তে যুবসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ব গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে।