শিক্ষার্থীরা খুব সুন্দর ব্যবহার করেছে আমার সঙ্গে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমি সেদিন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা খুব সুন্দর ব্যবহার করেছে আমার সঙ্গে।’
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ভোলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ১ আগস্ট রাজধানীর বাংলামটর এলাকায় উল্টোপথে আসা বাণিজ্যমন্ত্রীর গাড়ি ফিরিয়ে দেয় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। নিজেদের যুক্তি বুঝিয়ে বলেছিল শিক্ষার্থীরাও।
তোফায়েল বলেন, ‘সেদিন র্যাডিসনের সামনে মিম ও রাজীব নামে দুটি সন্তান অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। এটা খুব দুঃখজনক। আমি নিজেও এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। এরা কোমলমতি ছাত্র।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব দয়ালু নেতা। কালকের দিনে দুই ফ্যামিলিকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছেন। ২০ লাখ, ২০ লাখ। তারপরে ওদের যে দাবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেটিও মেনে নেওয়ার কথা। আমরা আশা করব যে, আমাদের এই প্রজন্মের ছাত্রসমাজ, তারা ঘরে ফিরে যাবে। এমন কিছু করবে না, যাতে তাদের সুনাম নষ্ট হইতে পারে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই হবে এবং এ নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপও হবে না বলে জানান তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫টার মধ্যে কিন্তু আমরা ৪টায় জিতেছি। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল আর হইল গাজীপুর। ২০১৩ সালে কিন্তু বিএনপি ৫টায় জিতেছিল। তার পরে তারা ইলেকশন করে নাই। এই যে ইলেকশন না করার খেসারত তাদের এখন দিতে হচ্ছে। এইবার যদি তারা নির্বাচন না করে, খেসারত আরো বেশি দিতে হবে। কারণ, বিএনপি নামক এই দলটার অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং বিএনপি জোরজবরদস্তি করতে চায়, পারবে না। আর ইলেকশন হবে আমাদের এই সরকার ক্ষমতায় থেকে। পার্লামেন্টও থাকবে, ইলেকশনও হবে, সংলাপও নাই। কারণ, ১৪ সালের ইলেকশনের সময় প্রধানমন্ত্রী ডেকেছিলেন, কিন্তু তারা আসে নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ৫টা মন্ত্রণালয় দেবেন, তারা আসে নাই। বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করবেন, তারা আসে নাই। এখন সংলাপ সংলাপ করে। এখন আর সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নাই। নির্বাচন করতে হবে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।’
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তাঁর দলীয় কর্মীদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।