সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে কতজন কর্মী গেছেন, কতজন স্বেচ্ছায় বা সরকারের মাধ্যমে ফিরে এসেছেন, কতজন শারীরিক-যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান, বায়রার সভাপতি-সেক্রেটারিকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের যেসব নারী কাজের জন্য কর্মী যাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা, যাঁরা শারীরিক-মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন-প্রত্যাবাসনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব, প্রবাসীকল্যাণ সচিবসহ ১১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান নিজেই শুনানি করেন।

জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চলতি মাসের মাঝামাঝি এ-সংক্রান্ত একটি রিট দায়ের করেন। আজ রিটের ওপর শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।