ভোট দিলেন মুহিত, বললেন ‘দিবারানী সন্ত্রাসীকে’ চান না
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ সোমবার সকালে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচন। আমি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, এইটা আমার সেন্টার। এইখানে আমার মেয়র ক্যান্ডিডেট বদর উদ্দিন কামরান। আমি তো তাঁকে ভোট দিয়েছি এবং আশা করি সে বিপুল ভোটে জিতবে। এইখানে মহিলাদের মধ্যে আমার একমাত্র টার্গেট হলো দিবারানী বলে যে একটা গুন্ডি আছে, সন্ত্রাসী, সে যেন কোনোভাবে নির্বাচিত না হতে পারে। আর ছেলেদের মধ্যে আমাদের প্রার্থী আছে বোধ হয় বাকের, তাঁকেও ভোট দিয়েছি। আমার তো পরিবারের অনেকেই এখানে থাকে, তাঁরা ভোট দেবে এখানে। আমার সঙ্গে আসছে আমার ভাতিজা, আমার ছেলে এবং আমার ভাই, সুজন, শাহেদ এবং মুকিম।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ খুব ভালো। আমি তো দেখলাম খুব ভালো অবস্থা, শান্তিপূর্ণ, ভিড় বা অস্থিরতা সে রকম নাই। সবাই লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে, আমিই শুধু লাইন ভাঙলাম। কারণ, আমি ঢাকা থেকে এসেছি, এখনই চলে যাব। ঢাকায় আজকে আমার একটা মিটিং আছে। এরই মধ্যে সেটি শুরুও হয়ে গিয়েছে।’
মুহিত বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে শুধু আওয়ামী লীগ এজেন্ট আছে, বিএনপির কেউ নেই, সেটা আমাদের দোষ না। বিভিন্ন জায়গায় তারা এজেন্ট দিতে পারে না, সেটা সব সময়ই হয়। কারণ অনেকেরই এই রকম ধরনের সাপোর্টার পাওয়া যায় না, যাদের এখানে এজেন্ট হতে পারবে। এজেন্ট তো সবাই হয় না।’
এ সময় মুহিত বলেন, ‘আবার আওয়ামী লীগ আসবে। আমার ভাই তো ক্যান্ডিডেট—মোমেন (আবদুল মোমেন)। সুতরাং নমিনেশন পাবে কি না সেটা জানি না। যদি পায়, তাহলে সেই হবে ক্যান্ডিডেট।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিয়ে আমার প্রত্যাশা হলো : সিটি করপোরেশনের কাজকর্ম গত কয়েক বছর ধরেই ভালো চলছে। আমার কাছে তার ক্রাইটেরিয়া হলো, আমি যেসব টাকা দিই তারা সেটা খরচ করতে পারে কি না। সেটা ভালোভাবেই খরচ হয়েছে এবং আরেকটি জিনিস দরকার, সিটি করপোরেশনে রাজত্ব করার জন্য সেটা হলো, সিটির যে লোকজন আছেন, তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হয়। বাজার ভাঙবে, দোকান ভাঙবে, বাড়ি ভাঙবে এসব ব্যাপারে সেই জায়গার লোকজন যদি সহায়তা না করে, তাহলে কোনোমতেই কাজ করতে পারে না।’
সাবেক মেয়রদের সম্পর্ক মুহিত বলেন, ‘আরিফুল হক ভালো কাজ করেছে, কামরান ভালো কাজ করেছে। কামরান একবার তো এখানকার মেয়র ছিল। ভালো কাজ না করলে সে কীভাবে ছিল?’
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)। তিন সিটিতে ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনে তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ ও নারী ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।