মানহানির অভিযোগে এক মামলায় জামিন নিতে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে অবস্থান করছেন।

এর আগে আজ রোববার মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আল-আমিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই জামিন আবেদন করেন।

আজ হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর-আল আমিন।

একটি মানহানির মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতের (সদর) বিচারক দেলোয়ার হোসেন ২৬ জুলাই এই আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত শেষে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে। পরে আদালত দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখ ছিল; কিন্তু মাহমুদুর রহমান হাজির হননি।

মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী মো. আবদুল হক বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান একই প্রকৃতির একটি মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সেখানে গত ২২ জুলাই দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা আদালতে তাঁর চিকিৎসা-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট হাজিরা নিয়ে বিষয়টি মুলতবি রাখার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।’