তিন সিটিতে ভোট কাল
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল সোমবার। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই তিন সিটিতেই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে।
রাজশাহীতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। দুজনই এর আগে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা মেয়র পদে রাজশাহীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদ ছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫২ জন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
রাজশাহী সিটির মোট ভোটার তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। তাঁদের জন্য ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩৮টি।
রাজশাহীর মতো সিলেটেও সাবেক দুই মেয়র এবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
এ ছাড়া বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুই প্রার্থীসহ তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোটাররা মেয়র পদে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
সিলেট সিটির ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৭ জন ও নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
সিলেটের সিটির মোট ভোটার তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। তাঁদের জন্য ভোটকেন্দ্রে থাকছে ১৩৪টি।
বরিশালে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের নতুন মুখ সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আর বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরোয়ার।
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্ট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর পাশাপাশি বরিশালের ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
বরিশাল সিটির মোট ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৩টি।
তিন সিটির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, রাজশাহীতে মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা কম হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে স্থানীয় সরকারের এই সিটি নির্বাচনেও। বরিশালে ১১টি এবং সিলেট ও রাজশাহীর দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচনের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে গাজীপুর ও খুলনার মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে এতে থাকছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ভোট গ্রহণ উপলক্ষে এই তিন সিটিতে থাকবে সাধারণ ছুটি।