তিন কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, ভাণ্ডাররক্ষক গ্রেপ্তার

তিন কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৬৮ টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) খুলনার ভাণ্ডাররক্ষক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদস্যরা আজ বুধবার সন্ধ্যায় খুলনার নূর নগর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
জহুরুলের বিরুদ্ধে খুলনার খালিশপুর থানায় বিএডিসির সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে গত ১২ মে তিন কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৬৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। এই মামলাটি দুদকের খুলনা কার্যালয় তদন্ত করছিল।
খুলনা দুদকের উপসহকারী পরিচালক শামীম ইকবাল জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভাণ্ডাররক্ষক জহুরুল ইসলামের খোঁজ করছিলেন। আত্মসাতের মামলা হওয়ার পর থেকে জহুরুল পলাতক ছিলেন।
দুদক কর্মকর্তা জানান, জহুরুল বিএডিসির খুলনার শিরোমনী ও বয়রা গুদামের দায়িত্বে থাকাকালে উল্লেখিত টাকার টিএসপি সার গোপনে বিক্রি করে দেন। পরে এ ব্যাপারে বিএডিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটি দীর্ঘ সময় তদন্ত করে তিন কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৬৮ টাকার সার কম পান। এই সময় বিএডিসির ভাণ্ডাররক্ষক জহুরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি ছুটি ছাড়াই কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন।
পরে বিএডিসির সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় ভাণ্ডাররক্ষক জহুরুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন গত ১২ মে। সেই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনা দুদককে। যার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক শামীম ইকবাল।
এদিকে দুদক বিএডিসির ভাণ্ডাররক্ষক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আগামীকাল তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন।