গাজীপুরের নির্বাচনকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ বলল সুজন
সদ্য অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ বলে সমালোচনা করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সুজন সম্পাদক এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে যেটা দেখলাম, ঠিক তেমনি অনিয়ম কিন্তু আমরা দেখেছিলাম খুলনা নির্বাচনে। একই রকম অনিয়ম হয়েছে। সেই জাল ভোট দেওয়া, কারচুপি করা, হুমকি-ধমকি দেওয়া। আমার তো মনে হয়, সেই একই ধরনের সেই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হলো। এবং এখানে আমি মনে করি যে এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমাদের এর দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা কলুষিত হলো। যেটা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এবং এর মাশুল আমাদের দিতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা তো একটা ছোট জায়গায়। কিন্তু সমস্ত দেশে যখন একদিনে নির্বাচনটা হবে, সেই নির্বাচন পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা এই কমিশনের আছে কি না, সেটা প্রমাণ দিতে হবে। যে, এইসব নির্বাচনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের ভিত্তি কতটা সেটা তাদের জবাব দিতে হবে। তা না হলে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ পংকজ ভট্টাচার্য, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনাইদ সাকি প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এ সিটির ৪২৫টির মধ্যে ৪১৬টি কেন্দ্রের ফল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল আজ সকালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে চার লাখ ১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৬১১ ভোট। ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’ হওয়ায় নয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এ নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বিএনপি জাল ভোট, কারচুপি আর অনিয়মের অভিযোগ আনলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করা হয়েছে।