আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী ও সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে এনরোলমেন্টের (তালিকাভুক্তির) জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনরায় মূল্যায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বার কাউন্সিলের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অবস্থানকারীদের দাবি, তারা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন এবং প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আগে তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী খাতা পুনরায় মূল্যায়নে জন্য আবেদন করেছেন। খাতা পুনরায় মূল্যায়নের কোনো প্রক্রিয়া না দেখে তাঁরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ছাড়াও লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনরায় মূল্যায়নের বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ২৪ মে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী ও সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে এনরোলমেন্টের (তালিকাভুক্তির) জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওই দিন বিকেলে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফলে এ বছর আট হাজার ১৩০ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন। এ ছাড়া ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর খাতা থার্ড এক্সামিনারের (তৃতীয় বিচারের জন্য) সিদ্ধান্তের জন্য তাঁদের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।

এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার প্রায় আট মাস পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

২০১৭ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তির জন্য নৈর্ব্যত্তিক (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রাতেই বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ১১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হন। উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।