হেরে যাওয়ার ভয়ে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাতে চাইবে না। কারণ তারা যে অন্যায় করেছে সবকিছু ধরা পড়ে যাবে। সে ভয়ে তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারে। তাই আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকারের নোংরা রাজনীতি বন্ধের দাবিতে যুব সমাজে মওদুদ এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ মিথ্যার ওপর টিকে আছে। এই দলই স্বাধীনতার পর একটি সুন্দর সংবিধান দিয়েছিল। আবার সেই দলই দুই বছর পর বাকশালী শাসন চালু করে। সেদিন থেকেই দেশে রাজনৈতিক ও গণতন্ত্রের দুর্যোগ শুরু হয়। এই দলের কোনো নেতা স্বীকার করে না যে তারা পঁচাত্তর সালে একদলীয় শাসন চালু করেছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো নিজেদের ভুল স্বীকারও করে না। আজকে আবারও ১০ বছর ধরে একদলীয় শাসন তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দেশে কখন গণতন্ত্র চালু হবে মানুষ জানে না। আওয়ামী লীগ কোন মুখে বলে যে আজকে গণতন্ত্র সুরক্ষিত? অথচ তারা জোর করে ক্ষমতা দখলে রাখায় আজকে দেশে গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত।

গাজীপুর নির্বাচনের বিষয়ে চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপির অসম্ভব জনসমর্থন রয়েছে। এই নির্বাচন হলো সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য এসিড টেস্ট। যদি খুলনা স্টাইলে নির্বাচন করা হয় তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। গাজীপুর নির্বাচনের পর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব যে বাকি তিনটি সিটি নির্বাচনে আমরা অংশ নেব কি না। কারণ সময় এসেছে প্রতিরোধের। নির্বাচনের আর মাত্র আর চার মাস বাকি।

সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, এখন প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে। অন্যায়, অবিচার, জুলুম নির্যাতনের প্রতিরোধের সময় এসেছে। আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সে জন্য এই আন্দোলন। কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে এই আন্দোলন নয়।

দলীয় চেয়ারপারসনের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্তি পাবেন। তাঁকে নিয়েই আমরা নির্বাচন করব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।