চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটি এখনো শুরু হয়নি। তাই এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজধানীবাসীর ঈদযাত্রা। নিজে না যেতে পারলেও পরিবার-পরিজনকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ।

তাই মানুষের চাপ না থাকায় এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় ঝক্কিতে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের।

আজ সোমবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।

প্রতিবছর ট্রেনের জানালায়, ছাদে যেমন করে মানুষ ঝুলে থাকে—এ বছর এখনো তেমনটা শুরু হয়নি। স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, হুড়োহুড়ি নেই, ছাদে ওঠা নেই, এককথায় স্বস্তির ট্রেন ভ্রমণ।

তবে ঈদের ছুটি শুরু হলে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ি ফিরতে মানুষের ঢল নামবে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২২টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। আজকে ৬৬টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে ঢাকা থেকে। আশা করি, এভাবে যেতে পারলে লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি পৌঁছতে পারবে। এবং নিরাপদে পৌঁছতে পারবে।’

এদিকে, রাজধানীর কমলাপুর, সায়েদাবাদ, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ঝক্কি ছাড়াই গ্রামের বাড়ি রওনা করেছেন যাত্রীরা।

বাসের একজন টিকেট বিক্রেতা বলেন, ‘এখন তো শিডিউল মতোই সব গাড়ি রাস্তায় যাচ্ছে। রাস্তায় কোনো যানজট নাই। এবং রাস্তা খুব ক্লিয়ার। নির্দিষ্ট যে ভাড়া, আমরা সেই ভাড়াই রাখছি। আমরা কোনো বাড়তি ভাড়া দিচ্ছি না।’ 

ফিরতি পথেও এমন নির্বিঘ্ন যাত্রার প্রত্যাশার কথা জানান যাত্রীরা।