ঈদে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে থাকবে সেনাবাহিনী
পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করে। তবে চার লেনের কাজ চলায় এবং বিভিন্ন স্থানে বিকল্প পথ ব্যবহারের কারণে এই রুটের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন বলেন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহন সূত্রে জানা যায়, মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় চার লেনের কাজের জন্য রাস্তা সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। এছাড়া ভারী যানগুলোর জন্য যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ডাইভারশনের মাধ্যমে বিকল্প পথ তৈরি করায় দীর্ঘ সময় নিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে বৈঠক করা হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
মহাসড়কে রাস্তার পাশের বাজারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাজারের পাশে যেন গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে সে দিকে নজর রাখবে সেনাবাহিনী।
মহাসড়কের ঢাকার জুরাইনে অংশে দুইটি বিকল্প পথ করা হয়েছে যাতে ঈদে গাড়ির বাড়তি চাপ কমানো যায়।
এছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়েছে। যানজট নিরসন করতে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।
শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ি যাতে নির্দিষ্ট সময়ে গৌন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যেও কাজ করা হবে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ নজর থাকবে। মহাসড়কের কোথাও যাতে যান চলাচলে কোনো বাধা না আসে তার জন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
শিমুলিয়া ঘাটে নির্বিঘ্নে গাড়ি প্রবেশের জন্য ঈদ-পূর্ব ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে ঈদ উপলক্ষে তিন দিন ট্রাক চলাচল করবে না।