কর্মকর্তাকে হত্যার পর মাদকসেবী মরল বন্দুকযুদ্ধে!
ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকায় মাদক কেনার ১০০ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এসিআই কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপককে খুন করেছেন এক মাদকসেবী। এ সময় আহত হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এর তিন ঘণ্টা পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ওই মাদকসেবী।
নিহত এসিআই কর্মকর্তার নাম মোফাজ্জল হোসেন (৪৫)। আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আবুল হোসেন। তিনি শহরের তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
অন্যদিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ‘মাদকসেবীর’ নাম নুসরাত জামিল নিটুল (২৫)। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ আলম।
ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকায় মাদকসেবীর হামলায় আহত পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন। ছবি : এনটিভি
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউন্সিলর ফরহাদ আলম বলেন, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা। এসিআই কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় মাদক কিনতে ১০০ টাকার দাবিতে চাপাতি নিয়ে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় নিটুল। টাকা না দেওয়ায় চাপাতি দিয়ে মোফাজ্জলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মোফাজ্জল মারা যান। চিৎকার শুনে তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লিটনকে ধরতে যান। কনস্টেবলকেও চাপাতি দিয়ে আঘাত করেন লিটন। এতে কনস্টেবল গুরুতর আহত হন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, এক মাদক ব্যবসায়ী একজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করছে এবং এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরি মেরে আহত করেছে খবর পেয়ে তারা নওমহল এলাকায় ঘটনাস্থলে যান। আহত পুলিশ কনস্টেবলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়্। পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় নিটুল। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে দুপুর সোয়া ২টার দিকে নওমহল মসজিদ রোডে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নিটুল।
ওসি আশিকুর জানান, নিটুল শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। নিটুলের মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।