বাপেক্সের জিএম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় সোয়া এক কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনোয়ারুল ইসলাম ও ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর রমনা মডেল থানায় আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৪ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজেদের দখলে রেখেছেন। আসামি ফরিদা ইয়াসমিন ২০০৫-০৬ করবর্ষে রিটার্ন দাখিল শুরু করেন। ২০০৫-০৬ কর বছর থেকে ২০১৫-১৬ কর বছর পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৫২ টাকা আয় করেছেন এবং এ সময়ে তিনি ৬ লাখ ২২ হাজার ৩১২ টাকা ব্যয় করেছেন।
কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ফরিদা ইয়াসমিনের নামে স্থাবর, অস্থাবর ও গোপনসহ মোট এক কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৪ টাকার সম্পাদ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে আসামি এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের নামে প্রাপ্ত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহযোগিতাসহ চার লাখ টাকার সম্পদ গোপন করতে মিথ্যা তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করেছেন। এর মধ্যে চার লাখ টাকার সম্পদ কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে বাপেক্সের জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব ও অর্থ) এ কে এম আনোয়ারুল ইসলামের নামে কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, তা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার কারণে তাকে একই মামলার আসামি করা হয়েছে। দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।