‘এভারেস্টটা জয় করে ফেলেছি’, টিকেট পেয়ে যাত্রী
‘মনে হচ্ছে এভারেস্টটা জয় করে ফেলেছি। সেই সাড়ে ৬টায় এসেছি। এখন টিকেট পেলাম দুটো।’ এভাবেই ট্রেনের আগাম টিকেট হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন উচ্ছ্বসিত এক যাত্রী।
আজ রোববার ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির তৃতীয় দিন। আজও কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। শত শত টিকেটপ্রত্যাশী দাঁড়িয়ে আছেন লাইন ধরে।
১৬ জুন ঈদের সম্ভাব্য দিন ধরে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টিকেট বিক্রি করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আজ তৃতীয় দিনে বিক্রি হয়েছে ১২ জুনের টিকেট।
জানা যায়, যেসব ক্রেতা কাউন্টারের কাছাকাছি রয়েছেন, টিকেট কিনতে তাঁরা লাইন ধরেছেন গতকাল বিকেল থেকে।
কাঙ্ক্ষিত টিকেট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন অনেকে। আবার যাঁরা লাইনের একেবারে পেছনে, তাঁরা টিকেট পাবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা জানান।
অপেক্ষমাণ এক ক্রেতা বললেন, ‘সেহরি খাওয়ার পর থেকে ভোররাতে এসে দাঁড়াইলাম। প্রায় তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টার পর টিকেট হাতে পাইলাম। পেয়ে অনেক ভালো লাগতেছে। মনে হচ্ছে সোনার হরিণ পাইলাম।’
আরেকজন বললেন, ‘সেহরি খেয়ে এসেছি আমরা। চার-পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। এখনো টিকেট হাতে পাই নাই।’
আরেক ক্রেতা বললেন, ‘চারটা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত লাইনই শেষ হয় নাই। আদৌ সিট পাব কি না, জানি না।’
প্রায় ছয় ঘণ্টা অপেক্ষারত আরেক নারী ক্রেতা বলেন, ‘৫টার সময় আসছি। এখন তো ১১টা মনে হয় বেজেই গেছে। আশা তো আছে যে পাব। এখন জানি না কী হবে।’
ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গরমে আর ক্লান্তিতে অনেকে জড়িয়ে পড়ছেন বাকবিতণ্ডায়। তাই বাড়তি ট্রেন এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে রেল পুলিশ নিয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) আবুল কাশেম বলেন, ‘আপনার সাড়ে ৪০০ ব্যাটালিয়ন আনসার আছে। বিভিন্ন স্টেশনে। প্রতি ট্রেনে আমাদের পুলিশের পার্টি থাকবে, গার্ড থাকবে এবং সিভিলে আমাদের লোক থাকবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাই, যারা থাকে। এগুলো আমাদের তালিকা করা আছে আগেই। এবং আগে থেকেই আমাদের ড্রাইভ আছে।’
জানা যায়, আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্রি হবে ১৩ জুনের টিকেট।