পচা বিস্কুট দিয়ে কাবাব, ‘ফখরুদ্দিন’কে জরিমানা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ছিল রাজধানীর শান্তিনগরের কাঁচাবাজারে। সেখানে এক গুদামে মেলে কয়েকটি বস্তা। বস্তায় ছিল ‘পচা ও ফাঙ্গাস পড়া বিস্কুট।’ জানা যায়, এসব বিস্কুটের গুঁড়ো কাবাব বানানোর কাজে ব্যবহার করে বিরিয়ানি ও কাবারের জন্য খ্যাত ‘ফখরুদ্দিন ফুড অ্যান্ড বিরিয়ানি।’
আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। শান্তিনগরে গিয়ে এ খবর শুনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ছুটে যান সিদ্ধেশ্বরীতে ‘ফখরুদ্দিনে’র কারখানায়। তিনি জানান, সেখানে ওই বিস্কুটের ব্যবহারও দেখছেন। পরে ‘ফখরুদ্দিন’কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। বেকারির উচ্ছিষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট ব্যবহার করায় এ জরিমানা করা হয় বলে তিনি জানান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে তিনি যান শান্তিনগর কাঁচাবাজারে। সেখানে খোঁজ খবর নিতে নিতে একটি গুদাম দেখেন। সেখানে বস্তা দেখে দায়িত্বে থাকা একজনের কাছে জানতে চান এগুলো কী? ওই ব্যক্তি জানান, এগুলো ‘ফখরুদ্দিনের মাল’। তিনি বস্তা খুলে দেখেন ভাঙা, পচা, ফাঙ্গাস পড়া বিস্কুট। জানা যায়, এগুলো গুঁড়ো করে কাবাবসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রীতে মেখে ভাজা হয়। এটা শুনে সারোয়ার আলম ছুটে যান সিদ্ধেশ্বরীতে রমনা থানার পাশে অবস্থিত ফখরুদ্দিনের কারখানায়।
সারোয়ার আলম আরো জানান, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন ওই বিস্কুটের ব্যবহার। তিনি বলেন, ‘তারা স্বীকার করেছে হক বেকারি থেকে উচ্ছিষ্ট বিস্কুট কেনে ফখরুদ্দিন। বস্তায় ভরে শান্তিনগরের ওই গোডাউনে ফেলে রাখে মাসের পর মাস। সেগুলোর গুঁড়ো দিয়ে তৈরী করে মজাদার ইফতার সামগ্রী ও কাবাব!’
এর আগে শান্তিনগর কাঁচাবাজারে অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রির দায়ে ৮ জন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি ও উৎপাদনের দায়ে একটি বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।