‘খুশবু’র খাবারে কারখানার রং!
রাজধানীর গুলশানের রেস্তোরাঁ ‘খুশবু’র রান্নাঘর ‘স্যাঁতস্যাঁতে’। ফ্রিজে মিলেছে দীর্ঘদিনের পুরোনো বাসি মাংস। এ ছাড়া ‘খুশবু’র রান্নাঘরে পাওয়া গেছে কারখানায় ব্যবহার করা রং। যা খাবারে মেশানো হতো!
সোমবার ‘খুশবু’তে অভিযান চালিয়ে এ চিত্র দেখেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ‘খুশবু’র গুলশানের দুই শাখাকে সিলগালা করে চার লাখ টাকা জরিমানা ও মালিকসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-১ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বলে জানান সারওয়ার আলম। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানের নেতৃত্বে দেন তিনি।
সারওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, রেস্তোরাঁর মালিক ও ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. রিয়াজ উদ্দিনকে এক বছর এবং অন্য একটি শাখার ম্যানেজার মো. সালামকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করে সিলগালা করা হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘রং মেশানো ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং বাসি খাবার রাখার অভিযোগে তাঁদের জরিমানাসহ এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
সারওয়ার আলম বলেন, ‘এই রেস্টুরেন্টটি ২০১০ ও ২০১২ সালে স্পেন থেকে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। তাদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাকিগুলোর অবস্থা কেমন তা বুঝতে খুব কষ্ট হওয়ার কথা নয়।’
সারওয়ার আরো বলেন, ‘রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পুরোনো মুরগির পা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁদের ডিপফ্রিজে ময়লা-ছেঁড়া প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে দুদিন আগে রান্না করা ও সেদ্ধ মাংস পাওয়া যায়।’
ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ‘কোন্যাক ও কৃষ্ণা ব্যান্ডের দুটি কৌটা খুঁজে পাই অভিযানের একপর্যায়ে। দুই কেজির কৌটাগুলোতে ‘ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউজ অনলি’ লেখা ছিল। কিন্তু তারা এগুলো রান্নায় ব্যবহার করত। তবে তাঁরা দোষ স্বীকার করে নেন।’