বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নিরীহ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। তবে অনেকেই কঠোর কর্মসূচির কথা বলছেন। সময় হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ওই আলোচনাসভা ও ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। সে কারণে শুধু আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে বলে মনে হয় না। এজন্য আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকারের বিদায় ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি হবে না।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রামও প্রয়োজন। রাজপথে এই ইস্যুর ফয়সালা করতে হবে। ঈদের পরে নেতারা আন্দোলনের যে কর্মসূচি দিবেন সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’

কৃষক দলের সহদপ্তর সম্পাদক এস কে সাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের এম এ তাহের, তকদির হোসেন মো. জসীম, বগুড়া জেলা বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী।

ইফতারের আগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি এবং দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।