কুমিল্লার আরো একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

আজ সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী আরো বলেন, কুমিল্লায় দুটি নাশকতার ঘটনায় খালেদা জিয়াকে তিনটি মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক মামলা।

কুমিল্লার একটি নাশকতা ও একটি বিস্ফোরক মামলার জামিনের শুনানি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি নড়াইলে মানহানির একটি মামলায়ও জামিনের শুনানি শেষ হয়েছে। কুমিল্লার দুটি ও নড়াইলের একটি মিলে মোট তিনটি মামলায় আজ আদালত জামিনের আদেশ দেবেন।

বাকি আরেকটি মামলায় আজ জামিন আবেদন করা হয়েছে বলে জানালেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।   

এদিকে, ঢাকার মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের দুটি পৃথক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। এ দুটি মামলায়ও এ সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।

রায়ের পর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে।