ধর্ষণের পর প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, একজন গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ১৭ বছর বয়সী এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী। এ অভিযোগে গতকাল বুধবার রাতে ওই প্রতিবন্ধীর মা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার একমাত্র আসামিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই কিশোরী ফরিদপুর সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের এক ভ্যানচালকের মেয়ে। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। জন্ম থেকেই তার দুটি পায়েই সমস্যা থাকায় সে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটে।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে বিচারগান শুনতে যায় ওই কিশোরী। ওই দিনরাত ১০টার দিকে আলীয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গি গ্রামের জাবেদ শেখ (২২) ওই কিশোরীকে এলাকার একটি বাড়ির পুকুরের পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কয়েক দিন ধরে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বমি হওয়া ও খেতে না পারা জনিত জটিলতায় ভুগছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি জাবেদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলীয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্পর্কিত ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলার একমাত্র আসামি জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।