জিয়া অরফানেজ মামলা : কাজী কামালের জামিন নাকচ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামালের জামিন আবেদনের শুনানি ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছে হাইকোর্ট।
জামিন আবেদনের ওপর শুনানির শেষে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত আদালত কাজী কামালের জামিন আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার রেখে দিয়েছে। এর অর্থ হলো তিনি জামিন পাননি। তা ছাড়া আপিল বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ মামলার আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
দুদক আইনজীবী বলেন, জামিন আবেদনে কাজী সালিমুল হক কামালের আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য, সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। একটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করা হোক। জবাবে বলেছি, যাঁরা এতিমের টাকা মেরে দণ্ডিত হয়, তাঁদের আবার কিসের সামাজিক মর্যাদা? আপিল বিভাগ ৩১ জুলাই সময় বেঁধে দিয়েছেন, সে পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করুক। আপিল নিষ্পত্তি হলে দণ্ড বহালও থাকতে পারে আবার তিনি খালাসও পেতে পারেন। এরপর আদালত তাঁর জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রাখে।’
এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বাকি তিন আসামি পলাতক। আদালত এই তিন আসামির আপিল শুনানি এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের রিভিশন আবেদনে জারি করা রুলের শুনানি একইসঙ্গে হবে।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য দুই আপিলকারী হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
দণ্ডিত পলাতক আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।