সেই পথে হাঁটলেন প্রিয়াঙ্কা
পিচঢালা পথ। তবে ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। পথটায় দাঁড়ালে দেখা যায় নাফ নদ। আর দেখা যায় পাহাড়। ওই পাহাড় মিয়ানমারে। এ পথ দিয়েই রোহিঙ্গারা প্রাণে বাঁচতে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সেই সড়কটি দেখলেন। সেখানে নেমে কিছুক্ষণ হাঁটলেন।
টেকনাফের হাঁড়িখালী এলাকায় ওই পথটি। আজ মঙ্গলবার সকালে উখিয়ায় রয়েল টিউলিপ হোটেল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হাঁড়িখালী পৌঁছান। আজ ছিল তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন।
হাঁড়িখালীর ওই পথে হাঁটাহাঁটির একপর্যায়ে একটি গাছের নিচে দাঁড়ান প্রিয়াঙ্কা। সেখানে দাঁড়িয়েছিল উৎসুক শিশুরা। স্থানীয় এসব শিশুর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বললেন তিনি।
সেখান থেকে টেকনাফের নেটং (উটনি) পাহাড়ের দিকে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা। এই পথে নাফ নদ দিয়ে মিয়ানমার থেকে কীভাবে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে, তা প্রিয়াঙ্কার সামনে তুলে ধরা হয়। এখানে ১৫ মিনিট অবস্থান করেন তিনি।
এরপর টেকনাফের লেদা বিজিবি চৌকির কাছে ইউনিসেফ পরিচালিত শিশুদের খেলাধুলার জন্য তৈরি স্থান পরিদর্শন করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখান থেকে তিনি টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে যান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বলিউড ও হলিউডের জনপ্রিয় এই ভারতীয় অভিনেত্রী গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সড়কপথে গিয়ে ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপে যান। সেখান থেকে বিকেল ৪টায় তিনি মেরিনড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন অভিনেত্রী মডেল ও ২০০০ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল জানান, আগামীকাল বুধবার সকালে প্রথমে উখিয়ার জামতলী ও পরে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আগামী বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার পর কক্সবাজার ত্যাগ করবেন তিনি।