সুনামগঞ্জে বন্যার অবনতি, লাখো মানুষ পানিবন্দি

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তৃতীয় দফায় সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা ও খাসিয়ামারা নদীর পানি বেড়েছে। একইসঙ্গে জেলার সব হাওরের পানি বাড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ছয় উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও ছাতক উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমনক্ষেত পানির নিচে চলে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাজাবার, জামালগঞ্জ, শাল্লা ও ছাতকের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক পানির নিচে চলে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উত্তর বাদাঘাট, দক্ষিণ বাদাঘাট, শক্তিয়ারখলা ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়ধল, দক্ষিণ বড়ধল, তাহিরপুর সদর, শ্রীপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন, দোহালিয়া ও দোয়ারাবাজার সদরের ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর, সাচনা বাজার, ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ৫০টির মতো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া আরপিননগর, নবীনগরের রাস্তায় সুরমা নদীর পাড় উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি এলাকার বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মামুন হালদার জানান, সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।