রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ কারণে আজ শনিবার রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, বাংলামোটরসহ একাধিক জায়গায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুপম সিংহ চৌধুরী নামের এক ব্যাংকার এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ শনিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর পাঁচ বছরের শিশুকে টিকা দিতে নিয়ে আসেন। কিন্তু মতিঝিল থেকে দুপুর ১টায় রওনা দিয়ে বিকেল ৪টায় এসে পৌঁছান।

অনুপম বলেন, আজ শনিবার মনে করেছিলাম রাস্তায় জ্যাম থাকবে না। কিন্তু এসে দেখি ভয়াবহ জ্যাম। শুনেছি বসুন্ধরা সিটিতে সমস্যা হয়েছে।

সুস্মিতা নামের এক নারী জানান, ধানমণ্ডির ছায়ানট থেকে গান শিখে পান্থপথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু জ্যামের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন।

জামাল নামের এক চাকরিজীবী বলেন, রোজার আজ দ্বিতীয় দিন। শনিবারের দিন অফিস থাকায় মনে করেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে ইফতারি করতে পারব। কিন্তু ভয়াবহ জ্যামের কারণে কখন পৌঁছাতে পারব তা জানি না।

এদিকে আজ শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের দোকান মালিক সমিতির নেতাদের বৈঠক চলছিল। বৈঠকে সাধারণ দোকানিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে বিপণিবিতানটিতে অভিযান শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গাজী মো. জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা।

অভিযানে শপিং মলের বিভিন্ন দোকান থেকে ১০০টি আইফোন জব্দ করা হয়। এসব আইফোন অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়েছে বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের দাবি।

এর পরই অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

বিক্ষোভের সময় শুল্ক গোয়েন্দাদের বহন করা গাড়িটি আটকে রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে র‍্যাব সদস্যরা এসে গাড়িটি উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিপেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের ঘটনা শুনে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।