মানিকগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের ভাকলা গ্রামের আকতার হোসেন আতাই (৪২) ও মো. আজমত আলীর (৪০) ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ভাকলা-টেপড়া সড়কে ওই এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন চলাকালে আবু তালেব, মো. ওহেদ আলী, মো. মনির উদ্দিন, আবদুল সাত্তার, মো. হাফিজ উদ্দিন, আবদুল মোতালেব প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ও স্বজনরা জানান, ভাকলা মৌজার ৩২ শতাংশ জমি এসএ রেকর্ডমূলে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নানা রিয়াজউদ্দিন বিক্রি করেন আবুল কাজীর কাছে। অন্য ওয়ারিশানরাও আবুল কাজীর কাছে ওই জমিতে তাঁদের অংশ বিক্রি করেন। পরে আবুল কাজীর নামে জমিটি আরএস রেকর্ড হয়। তিনি ৪০ বছর ভোগ-দখলের পর সাফ-কবলা চাঁন মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। চাঁন মিয়াও ১০ বছর ভোগ-দখল করার পর ২০০৯ সালে মিনাজউদ্দিনের কাছে বিক্রি করেন। এক মাস আগে সিরাজ ওই জমি নানাবাড়ির ওয়ারিশান হিসেবে মালিকানা দাবি করে দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে সিরাজের সঙ্গে মিনাজউদ্দিনের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী আজমত আলী জানান, গত ১৩ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মিনাজউদ্দিনের চাচাতো ভাই আকতার হোসেন আতাই ঋণ পরিশোধের জন্য ৭০ হাজার টাকা নিয়ে জুনিকালশা বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিরাজ ও তাঁর আত্মীয়স্বজন মো. বাবুল হোসেন, মো. শাহজাহান, আবদুর রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম শহর, শুকচাঁন, রূপচাঁন, হানিফ, মধু ও মো. আসাদ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আতাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় আতাইয়ের চিৎকারে ফুফাতো ভাই আজমত এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করে তারা।
পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা গিয়ে তাঁদের দুজনকে আহত অবস্থায় উথলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় একটি মামলা করেন আতাইয়ের ভাতিজা লোকমান হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে থানায় পৃথক মামলা করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। মামলার অধিকাংশ আসামির জামিন পাওয়ার কাগজপত্র থানায় এসেছে বলেও জানান তিনি।