ভারতের গরম আর সিলেটের পূবালি বাতাসে ধুম বৃষ্টি
আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। তার কিছু পর থেকেই কালবৈশাখীর সঙ্গে ঝুম করে নেমে আসে বৃষ্টি। এ সময় ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আকাশ। যেন রাতের নিকষ কালো নেমে আসে দিনের রাজধানীতে।
এ সময় রাস্তার গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়। বৃষ্টির কারণে যান চলাচলের গতি কমে যায়। যদিও এর কিছু পরেই আবার দেখা মেলে রোদের। রোদ-বৃষ্টির এই খেলা কাল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী রোববারের পর থেকে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা সমুদ্রের জলীয়বাষ্পপূর্ণ গরম বাতাস এবং সিলেটের অপেক্ষাকৃত শীতল বাতাসের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সিলেটের এই শীতল বাতাসকে বলা হয় পূবালী বাতাস।’
আজ সারা দিন, এমনকি রাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তিনি আরো জানান, আগামীকালও সেটি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে রাজধানীতে তীব্র ঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে কোথাও তীব্র যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কারণ, অফিসাগামী মানুষ আর স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝড়ের আগেই তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে ঝড়ে শ্রমজীবী, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
আবহাওয়া কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।