বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ, ঢাকা ঘোষণা গৃহীত
ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপী ইসলামিক সংহযোগিতা সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ওআইসি সিএফএম ২০১৮। রোহিঙ্গা নিধনে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে অস্থায়ী মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠন ও ওআইসির কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণসহ নানা বিষয় ঢাকা ঘোষণায় গৃহীত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত আলাদা আলোচনায় এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে একমত হয়েছে অংশগ্রহণকারীরা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘ছয় শতাধিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এমন সফল আয়োজন বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যের ফল।’
ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মলনের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ছিল রোহিঙ্গা সংকটে নিয়ে আলাদা অধিবেশন। যেখানে রাখা বক্তব্যে অতিথিরা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখন আর মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয়। এখন পুরো বিশ্বের দায়িত্ব এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বব রে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এ সমস্যা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে কানাডা বাংলাদেশের পাশে আছে। যখন ১ মিলিয়ন মানুষ দেশ থেকে পালিয়ে যায় তখন তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে না। এ সংকট শুধু বাংলাদেশকে না পুরো অঞ্চলকেই প্রভাবিত করছে।
ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আল ওথাইমেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে যাতে তারা এ সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া, রোহিঙ্গা সংকটসহ সবক্ষেত্রেই মুসলমানরা মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তা থেকে তাদের মুক্ত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি করার প্রস্তাব গৃহীত হয় সম্মেলনে। সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ৪৫তম এই অধিবেশনের চেয়ার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
আগামী এক বছর ওআইসি সিএফএম এর চেয়ারম্যানশিপের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ। পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।