গাঁজা বিক্রির দায়ে বাবা-ছেলেকে সাজা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গাঁজা বিক্রির দায়ে বাবা-ছেলে এবং সেবনের দায়ে দুই আপন ভাইসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কিছু পুরিয়া গাঁজা এবং গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে র্যাবের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসাদুল্লাহ মিয়ার দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পুরিয়া গাঁজা জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় আসাদুল্লাহ মিয়া (৬০) ও তাঁর ছেলে রহমত উল্লাহকে (১৯)।
অপরদিকে একই সময়ে ভৈরব পৌর বাস টার্মিনালের ভেতরে বসে গাঁজা সেবনের সময় ওই এলাকার আক্তারুজ্জামান (২৯) ও তাঁর ছোট ভাই আশিকুজ্জামান লেলিন (২৫) এবং অপর সহযোগী মানিক মিয়াকে (২৯) আটক করে র্যাব। এ সময় গাঁজাসহ গাঁজা সেবনের সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত গাঁজা বিক্রির দায়ে বাবা আসাদুল্লাহ মিয়াকে ছয় মাস এবং ছেলে রহমত উল্লাহকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। আর গাঁজা সেবনের দায়ে আক্তারুজ্জামান, আশিকুজ্জামান লেলিন ও মানিক মিয়াকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এ তাদের দোষী সাব্যস্ত করে এ কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান ও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে ভৈরবের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দেওয়ার পর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের আজ সকালে জেলে পাঠায়।