কাগজপত্র দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত, ভোটযজ্ঞ বন্ধের নির্দেশ ইসির
নির্বাচনের মাত্র নয় দিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেতার রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য বন্ধের যে রায় দিয়েছেন সেই ব্যাপারে কাগজপত্র দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে ভোটের দায়িত্বে থাকা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার দুপুরে রায় ঘোষণার পর পরই ইসির পক্ষ থেকে গাজীপুরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সব ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত এই সিটি ভোটের উত্তেজনা মিইয়ে গেল বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের রায় দেন। একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া এলাকার ছয়টি মৌজাকে নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এ রিট আবেদন করেন। সুরুজ সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনসংখ্যা বিষয়ক বিষয়ক। তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে পরপর দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আগামী ১৫ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। একই দিন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও হওয়ার কথা রয়েছে।
রায় ঘোষণার পর ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এক প্রশ্নের জবাবে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন আমরা রিটের ব্যাপারে শুনেছি। হাইকোর্টের রায় সবাইকে মানতে হবে। সেটা মেনেই গাজীপুরে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রিটের রায়ের কাগজপত্র দেখে আপিল করা হবে কি না সেটা বিবেচনা করবে ইসি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘টিভি স্ক্রলে একটু আগে দেখলাম, হাইকোর্ট আগামী তিনি মাসের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেভাবেই আমরা জানি না কেন, যেহেতু হাইকোর্ট আগামী তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন সেহেতু আমি গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে সব ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।’
‘হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের দেওয়া দায়িত্ব প্রতিপালন করব’, যোগ করেন মাহবুব তালুকদার।