প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, জাতীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের গোটা এলাকা চষে বেড়ানো আর দিন-রাত প্রচারের আমেজে নির্বাচনী হাওয়া যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া এলাকার ছয়টি মৌজাকে নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। একই দিন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও হওয়ার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এ রিট আবেদন করেন। সুরুজ সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে পরপর দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

যোগাযোগ করা হলে এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের সীমানা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিতে চাইলে তিনি ২০১২ সালে প্রথম নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর আপিল বাতিল করলে তিনি এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। দীর্ঘদিন পর আজ হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করলেন এবং রুল জারি করেছেন।

আদালতে নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জি এম ইলিয়াস কচি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান বলেন, সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চেয়ে চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম রিট করেন। 

রিটে বলা হয়, এসব এলাকা প্রশাসনিকভাবে ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালে ১৬ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেছিল ইসি। সেই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ একটি রিট আবেদন করেন।  আদালত শুনানি শেষে আজ নির্বাচন স্থগিত করেন।