ঢাকা মেডিকেলে মৃত শিশুর গালে ইঁদুরের কামড়!
দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় ১৮ মাস বয়সী শিশু সোহান হাওলাদার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
এর কিছুক্ষণ পরেই ওর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়। বিকেল ৪টার দিকে যখন হিমঘর থেকে বের করা হয় তখন লাশটির বাঁ গাল ক্ষত-বিক্ষত ছিল। রক্তও ঝরছিল সেখান থেকে!
সোহানের স্বজনরা জানান, মারা যাওয়ার সময়ও সোহানের গাল ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত। স্বজনদের অভিযোগ, মর্গে থাকা ইঁদুর বা বেজি কামড়ে নিয়েছে মৃত শিশুর গাল!
এ ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল শরীরে গরম ডাল পড়লে দগ্ধ হয় শিশু সোহান। দ্রুত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আনা হয়। শিশুটির শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে যায়।
শিশু সোহানের বাবার নাম সোহাগ হাওলাদার। গুলশানের নর্দায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তিনি।
শিশুটির চাচা মোহাম্মদ সুজন জানান, মারা যাওয়ার পরই সোহানের লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের হিমঘরে রাখা হয়। শিশুর গলা থেকে পা পর্যন্ত ব্যান্ডেজ ছিল। মুখমণ্ডলে কোনো আঁচড় পর্যন্ত ছিল না। তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থাপত্রে বলা আছে পুলিশ কেস। তাই গুলশান থানায় বিষয়টি জানানো হয়।’
বিষয়টি দেখতে গুলশান থানা থেকে আসেন উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আলম। তাঁর সামনেই লাশটি বের করা হয়। সেখানে দেখা যায়, শিশুটির বাঁ গালে অনেক অংশে ক্ষত। সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। দেখে মনে হয় বেজি বা ইঁদুর ওই অংশটি কামড়ে খেয়েছে।
ঘটনা শুনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ছুটে আসেন। তিনি শিশুটির স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, হিমঘরের পেছনে গর্ত আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেজি বা ইঁদুর ঢুকে এ কাজ করতে পারে।