ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, দুজন কারাগারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির ঘটনায় দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মো. মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ (২৫) ও আবু সাইদ ফজলে রাব্বী ওরফে সিয়াম (২০)।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, শাহবাগ থানা পুলিশ আজ আসামিদের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল এ দুই আসামিসহ চারজনকে রিমান্ডে পাঠান আদালত। তবে বাকি দুজন রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব ও আলী হোসেন শেখ ওরফে আলীর রিমান্ড শেষ না হওয়ায় আদালতে হাজির করা হয়নি।
ডিএমপি জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে মাসুদ আলম ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য তিনজন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া রাকিবের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি মামলা আছে।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার’ এস এম কামরুল আহ্সানের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা অনেক মুখোশধারী সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী হাতে লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দেয়াল টপকে এবং ভবনের ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাসভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে এবং মূল্যবান সম্পদ লুটতরাজ করে। তা ছাড়া ভবনে রাখা দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং আরো দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ভবনে রাখা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে এবং সিসি ক্যামেরার ‘ডিভিআর’গুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।