নীলফামারীতে জামায়াতের ২৩ নেতাকর্মী কারাগারে

দশম সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে নাশকতার মামলায় জামায়াতের ২৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নেতাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন লুৎফর রহমান (৪৫), সাত্তার আলী (৪৫), মহির উদ্দিন (৪০), জুয়েল (৩৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), জিয়া (৩৫), আফছার আলী (৩৫), রশিদুল ইসলাম (৩০), কালা মিয়া (২৫), হারুন অর রশিদ (২৫), শরিফুল ইসলাম ছবদুল (৩০), জসিয়ার রহমান (৩০), হালিমুর রহমান (২৫), সহিমুদ্দিন (২৪), মিনারুল (২২), ঘোটো (৩৫), সোবহান আলী (৩৫), আব্দুর রহিম (৩৫), শরিফুল ইসলাম কাল্টা (৩০), আমিনুর রহমান (৩৫), আলম (২৪), শাহজাহান আলী (২২) ও রাসেল ইসলাম (২২)।
ডিমলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আবদুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা ব্যাপক নাশকতা চালায়। এ সময় তাঁরা ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাকে মারধর করে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ডিমলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার আমির বোরহান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় জামায়াত-বিএনপির অজ্ঞাতনামা শতাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল লতিফ চলতি বছরের ৩১ মার্চ জামায়াত-বিএনপির ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।