নীলফামারীতে বিএনপি-জামায়াতের ১৪ জনকে কারাগারে

সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার মামলায় নীলফামারীতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক সামিউল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন ইউনূস আলী, শহিদুল হক, আব্দুল ওয়াহাব, একরামুল হক, তাজম, রফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, বাদশা মিয়া, হামিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, আলাই মামুদ, হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল খালেক ও শহিদ।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামচরণ রায়ের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। ১৭ ডিসেম্বর শ্যামচরণ রায়ের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায় বিএনপি-জামায়াতের ২৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনের নামে নীলফামারী সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলার সূত্র ধরে আসামিরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সামিউল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নীলফামারী আদালতের জিআরও শাহারুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন। আজ মামলার ১৪ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এতে আদালতের বিচারক জামিন না-মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।