পদ্মা সেতুর কাজ দেখে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি দুই দিনের সফরে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আজ দুপুর ২টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে সার্ভিস এরিয়া ১-এ পৌঁছেন। এখানে তাঁকে বর্তমান সরকারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি সিনো হাইড্রো মাঝিকান্দি, মাওয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী, জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর স্প্যান ও সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা নৌযাত্রার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর পিলার দেখেন ও শক্তিশালী পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে বলেন যে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্মাণকাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয় যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। তিনি নির্মাণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বলেন, আমি এখানে সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখে সত্যিই সন্তুষ্ট।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার সম্মিলন হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই পদ্মা বহুমুখী সেতু। এই সেতু দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও সামাজিক খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি আয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।
আবদুল হামিদ বলেন, পদ্মা সেতু আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পদ্মা সেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মৃণাল কান্তি দাস ও বিএম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম এবং জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আগামীকাল ঢাকায় ফিরবেন।