আরজু হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে র্যাব-২-এর অধিনায়কসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এ নির্দেশ দেন।
urgentPhoto
এর আগে গত রোববার নিহত আরজুর ভাই ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার বিধান অনুযায়ী জবানবন্দি দেন। বিচারক ওই দিন জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ বিষয়ে তখনই কোনো আদেশ না দিয়ে আজ আদেশ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার আসামিরা হলেন র্যাব-২-এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানা, উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শাহিদুর রহমান, পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) ওয়াহিদ ও সোর্স রতন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. পারভেজ বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৭ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হাজারীবাগের কিশোর রাজা (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা আরজু (২৮)।
পরে ১৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরজুকে মৃত ঘোষণা করেন।
সে সময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানা জানান, ১৭ আগস্ট সকালে মোবাইল চুরির অভিযোগে একই এলাকার রাজা নামের এক কিশোরকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন হাজারীবাগ ছাত্রলীগ নেতা আরজু।
এ ঘটনায় রাজার বোন রেশমা আক্তার শাবানা বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় আরজুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পর র্যাব-২ এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে।
রাত সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরজুকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে হাজারীবাগের বারইখালী এলাকায় পৌঁছালে ওত পেতে থাকা আরজুর সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে র্যাবও তাদের জবাবে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আরজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানান মাসুদ রানা।