খুলনা আ. লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে : বিএনপি

খুলনা মহানগর বিএনপির নেতারা সরকার কর্তৃক দেশের সব সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দেওয়া বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারকে রক্ষা ও বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আওয়ামী লীগ মিথ্যা ও কাল্পনিক বিবৃতি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের দেওয়া ওই বিবৃতিকে অসত্য ও মিথ্যাচারে ভরা উল্লেখ করে দেশের সব সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির সরকারি গেজেট পড়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
খুলনার মহানগর বিএনপির নেতারা আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান বলে মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক সামছুজ্জামান চঞ্চল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি শিশুও বুঝতে পারে দেশে বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যাদের নেই কোনো জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা। সাধারণ মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে যাদের অর্থ আয় করার অভ্যাস তারাই সত্য গোপন করে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টির জন্য মানববন্ধন ও সিটি করপোরেশন ঘেরাওয়ের নাটক মঞ্চস্থ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘুম হারাম করা বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৬২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজয়ের গ্লানি মুছতে কানাগলিতে হাঁটছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ।
বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগকে বিবৃতি ও আন্দোলন কর্মসূচি না সাজিয়ে তাদের বিনা ভোটের সরকারের ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি প্রকাশিত গেজেট প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য ফি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে খুলনার ব্যবসায়ী সমাজ ও জনগণকে সাজানো-পাতানো নাটকের আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মুশারফ হোসেন, জাফরুলাহ খান সাচ্চু, আবদুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সিরাজুল হক নান্নু, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু প্রমুখ।