খুলনা ও গাজীপুর সিটিতে ভোট ১৫ মে
খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, ‘এ দুই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল। এরপর ২৪ এপ্রিল নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
এর আগে কমিশনের সভায় এ দুটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার জন্য খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়েছে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫। আর খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়েছে ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, আগামী ২ এপ্রিল এইসএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৪ মে শেষ হবে। ২৩ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে আর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৭ মে থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে এবং ১৬ বা ১৭ জুন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।
সুতরাং এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী ১৫ মে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল চূড়ান্ত করেছে ইসি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, আগামী সেপ্টম্বরের মধ্যে গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয়।
সেই অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ০৮ মার্চ থেকে নির্বাচনযোগ্য হয়েছে এবং ৪ সেপ্টেম্বরের ভিতরে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। একই বিধান অনুসারে খুলনা সিটি করপোরেশন ৩০ মার্চ থেকে নির্বাচনযোগ্য হয়েছে এবং ২৫ সেপ্টম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা কিছু স্থানে ইভিএম ব্যবহার করব।
গত ২৯ মার্চ শতাধিক স্থানে স্থানীয় সরকার সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন সাধারণত বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়, সেজন্য সবসময় তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যে একজন নিহত হয়েছেন সেটা খুবই দুঃখজনক।’
স্থানীয় নির্বাচনেই যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রদান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা আরো সতর্ক থাকব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিবে আরো বেশি করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মাহাবুব তালুকদার এবং নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান।