ভেজাল তেল-ড্রিংকস উৎপাদন, চারজনকে ১৪ বছর করে সাজা
গাজীপুরে ভেজাল সরিষার তেল, এনার্জি ড্রিংকস, ম্যাংগো জুসসহ বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির দায়ে চারজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম এনামুল হক ওই রায় দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন ছয়দানা এলাকার মো. মাসুদ (৩০), ডেগেরচালা এলাকার মো. আলম হোসেন (৩০) ও মো. শাহ আলম (২৬) এবং জাজর এলাকার মো. নাহিদ হাসান (২৮)। রায় ঘোষণার সময় আলম হোসেন ছাড়া অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জয়দেবপুর থানাধীন ডেগেরচালা এলাকায় এসিএল বেভারেজ অ্যান্ড ফুড লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ ভেজাল সরিষার তেল, লায়ন ম্যাংগো জুস ও এনার্জি ড্রিংকসসহ বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল। এ খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল দুপুরে গিয়ে অভিযান চালিয়ে কারখানার সামনে থেকে ওই চারজনকে আটক করে এবং কারখানা থেকে বিপুল ভেজাল পণ্য ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে। আটক ব্যক্তিরা ভেজাল জুস, ড্রিংকস ও তেল উৎপাদনের কথা স্বীকার করেছেন। এ সংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে তাঁরা ব্যর্থ হন। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর আসামিরা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-এর ২৫সি (১) ধারায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন। তবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ওমর ফারুককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে গাজীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মুনীম খান ও আলেয়া আক্তার মামলা পরিচালনা করেন।