দুদকের মামলায় সোহেল রানার মায়ের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগমকে ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় দেন।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি এম সালাউদ্দিন ইস্কেন্দার কিং জানান, আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁর সম্পদের ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া রায় ঘোষণার পর মর্জিনা বেগমকে কারাগারে পাঠাতে আদেশ দেন বিচারক।
কৌঁসুলি জানান, দুর্নীতি দমন আইনের দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। একটি ধারায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
অন্য দিকে আরেক ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডসহ মোট ছয় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
রায়ে বলা হয়, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখল করেন। এ ছাড়া তিনি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন দুদকের কাছে।
নথি থেকে জানা যায়, আসামি মর্জিনা বেগম সাভারের রানা প্লাজার একাংশের মালিক।
এ ছাড়া সাভার বাজার রোডের আরেকটি ভবনের মালিক তিনি। দুদক তাঁর সম্পদ তথ্য চেয়ে নোটিশ জারি করেন। দুদক কাছে তথ্য দেওয়ার সময় তিনি মিথ্যা ও ভীত্তিহীন তথ্য দেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট মর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম। পরে মামলাটি বিচারের জন্য এ আদালতে আসে।
২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচার শুরুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরের দিন ২৯ আগস্ট একই আদালত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।