ইভিএমে আস্থা বাড়াতে মাঠ পর্যায়কে ইসির নির্দেশনা
আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট কেন্দ্র স্থাপন, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে সিডি তৈরি এবং ইভিএম পদ্ধতির ভোটগ্রহণে ভোটারদের আস্থা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মাঠ কর্মীদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সকাল ও বিকেলে দুই দফায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ১০ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ৬৪টি জেলা ও কয়েকজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
সকাল ১০টায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোটার তালিকার সিডি তৈরি, যাচাই এবং ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের লক্ষ্যে সরেজমিন পরিদর্শন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী ২৯ মার্চ হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের সাধারণ ও উপনির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
সভা শেষে বিকেল ৫টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রণয়নে এবং ভোট কেন্দ্রগুলো সরেজমিনে দেখে তারা যাতে আমাদের কাছে রিপোর্ট করে এই জন্য আমরা তাদের ডেকেছি। এই সভাতে মূলত আলোচনা হয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার তালিকা সঠিক আছে কি না এবং সেগুলোর সিডি প্রস্তুত করার লক্ষ্যেই আমরা সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
এ ছাড়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার তালিকার সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি না বা কোথাও কোনো সমস্যা আছে কি না সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান সচিব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরো বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। যেহেতু সব স্থানে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সেহেতু ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন আগ্রহী। তবে আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার ব্যবহার করা হবে কি না তা এখুনি বলা যাচ্ছে না।’